দেশে বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) করদাতারা ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৯টি রিটার্ন জমা দিয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আয়কর সেবা মাস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ তথ্য জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, টিআইএনধারীর সঙ্গে করদাতা একটা বড় ব্যবধান রয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে নাগরিকদের টিআইএন নিতে হয়। টিআইএন নিলেই যে তাকে কর দিতে হবে বিষয়টি তা নয়। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত টিআইনধারীর সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৩ হাজার ২০৬ জন। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৯ জন। অর্থাৎ তিন মাসে টিআইএনধারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ। ২০২১-২২ অর্থবছরে টিআইএনধারীর সংখ্যা ছিল ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার।

তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৮ জন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেটা দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৩ জন। প্রায় ১০ লাখ রিটার্ন এক বছরে যোগ হয়েছে। যেখানে ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছর জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৯টি রিটার্ন জমা পড়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩ লাখ ১৯ হাজার রিটার্ন জমা পড়ে।

অন্যদিকে অনলাইন রিটার্ন জমার বিষয়ে মুনিম বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়ে ৬১ হাজার ২০৩, ২০২২-২৩ অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮১ টি। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত এই সংখ্যা ২৭ হাজার ৬১২। আমাদের অনলাইন প্লাটফর্মটা যত সহজ হয়েছে, এর সুফলটা যদি করদাতারা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেন, অনলাইনে অনেক রিপোর্ট জমা হবে। তবে করদাতাদের আহ্বান জানাবো অনলাইনে আগে-ভাগেই রিটার্ন জমা দিবেন। শেষ সময় জমা দিতে গেলে সার্ভার স্লো হতে পারে, সেক্ষেত্রে করদাতারা সর্বোচ্চ সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।

আরএম/এসকেডি