বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের “আউট অব দ্য বক্স” চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
 
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত টাওয়ার অব আকাশে এফবিসিসিআইয়ের অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মীর নাসির হোসেন, কাজী আকরাম উদ্দিন ও মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর বর্তমান সভাপতি মাহবুবুল আলম।

সালমান এফ রহমান বলেন, গুলশানে নতুন এই শাখা অফিস চালুর মাধ্যমে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় এফবিসিসিআইয়ের সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই অফিস কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগ উদ্যোক্তাদের সহায়তা এবং ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এফবিসিসিআইয়ের যেকোনো প্রস্তাব বা দাবিকে সরকারও গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে থাকে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের আউট অব দ্য বক্স চিন্তা করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে এফবিসিসিআইকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত এবং গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কাজ করছে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। বলেন, গুলশানে শাখা অফিস চালুর মাধ্যমে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও অতিথিদের সঙ্গে বৈঠক অনেক সময় সাশ্রয়ী ও সহজতর হবে। পাশাপাশি এফবিসিসিআইয়ের অনুষ্ঠান ও ছোট পরিসরের সভা করার ক্ষেত্রে এই অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রমকে ব্যবসায়ীদের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে বর্তমান বোর্ড প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন সহজেই এফবিসিসিআই থেকে সহযোগিতা পেতে পারে এজন্য গুলশান শাখা অফিসের পাশাপাশি পুরান ঢাকা, চট্টগ্রামেও শাখা অফিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। ইতোমধ্যে রাজধানীর হাঁটখোলায় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, টেকসই শিল্পায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জনে এফবিসিসিআই সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রমকে সমন্বয় করা অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যে প্রধান শাখার সঙ্গে সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সম্প্রসারিত অফিসেও একযোগে কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন ও এফবিসিসিআইয়েএর পরিচালকসহ ব্যবসায়ী নেতারা।

কেএ