বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে তৈরি পোশাক এবং চামড়া খাতসহ সব খাত মিলে ২০৪১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেত হবে। এ অর্জনে দেশের রপ্তানি খাতকে বহুমুখীকরণ করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী ২০৩০ সালে চামড়া খাতে রপ্তানি আয় হবে ৬ বিলিয়ন ডলার বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় এলএফএমইএবির সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান এবং এলএফএমইএবি’র উপদেষ্টা মোহাম্মদ সায়ফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আর্বিভূত হয়েছে। রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধি সুসংহতকরণ এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদরে আকৃষ্ট করতে উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

টিপু মুনশি বলেন, রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে যা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। এসব পণ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরতে ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। 

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের টোটাল রপ্তানির তৈরি পোশাক খাত ৮৩ ভাগ দখল করে আছে। কিন্তু এই খাত একদিনে এই জায়গায় আসেনি! চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে । 

এটি অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পখাতসহ সব রপ্তানি শিল্পসমূহের সমান নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্থানীয় পণ্যগুলোর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং ও বিপণনে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সময়োপযোগী নানা পদক্ষপে নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং লেদারগুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফকেচার্রাস এন্ড এক্সর্পোর্টাস এসোসয়িশেন অব বাংলাদশে আগামী ১২-১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশ সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে চর্তুথ বারের মতো ‘বাংলাদশে লদোর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস-২০২৩’ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

প্রদর্শনীর পাশাপাশি ৩টি ব্রেকআউট  সেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে ২০০ এর অধিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, নীতি নির্ধারক এবং দেশি-বিদেশি অতিথি ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।

 এমআই/এমএ