করমুক্ত হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন, শিগগিরই প্রজ্ঞাপন
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ সর্বজনীন বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কর রেয়াত সুবিধা ও পেনশনে প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর নীতি বিভাগ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে এসআরও জারি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে কর দিতে হবে কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হবে শিগগিরই।
রোববার (৮ অক্টোবর) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, নতুন আয়কর আইন-২০২৩-এর ষষ্ঠ তফসিলে (অংশ-৩) বলা হয়েছে, জীবন বিমার প্রিমিয়াম, প্রভিডেন্ট ফান্ডের চাঁদা, স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলের চাঁদা, সরকারি সিকিউরিটিজ বা মিউচুয়াল ফান্ডে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ, বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা (মাসিক ১০ হাজার) ডিপিএসে বিনিয়োগ ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে সেই অর্থের ওপর কর রেয়াত বা করছাড় পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে উল্লিখিত খাতে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে, তার ১৫ শতাংশ বা ১০ লাখ টাকার কম যে অর্থ হবে, সেই পরিমাণ অর্থ করছাড় পাওয়া যাবে। কিন্তু ষষ্ঠ তফসিলে পেনশন স্কিমের চাঁদার কথা উল্লেখ নেই।
অন্যদিকে, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩-এর ১৪ (১) (ঢ) ধারায় বলা আছে, পেনশনের চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। তবে আয়কর আইনের ৭৬ (২) ধারায় বলা আছে, আয়কর আইন ছাড়া অন্য কোনো আইন বা আইন হিসেবে পরিগণিত দলিলের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তিকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ওই আইন বা আইন হিসেবে পরিগণিত দলিলে যাই থাকুক না কেন, এনবিআর প্রজ্ঞাপন দ্বারা ওই ব্যক্তিকে কর অব্যাহতি না দিলে সেই বিধান কার্যকর হবে না। তাই বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগ নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়। প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম- এ চারটি স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার।
চালুর প্রথম দিনেই এতে ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন।
অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সবমিলিয়ে, সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।
আরএম/কেএ