দেশের পোশাক খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে নীতি সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) ও সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় দেশের তৈরি পোশাক শিল্প, এর সম্ভাবনা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রূপকল্প সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গভীর প্রভাব এবং এই প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যে সকল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ দেশগুলোতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কমেছে। কারণ, ভোক্তারা পোশাকের চেয়ে খাদ্য এবং জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর ফলে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে এবং পোশাক খাতে রপ্তানি কমে যাওয়া দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের উপর সরাসরি প্রভাব রাখছে।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান শিল্পের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বৈশ্বিক বাজারে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বিশ্বব্যাপী উচ্চ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাকসহ নন-কটন পণ্যগুলোতে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর শিল্প ক্রমবর্ধমানভাবে যে গুরুত্ব প্রদান করছে, তা তুলে ধরেন এবং নীতি সহায়তার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং সহজতর করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

এছাড়াও ফারুক হাসান পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের জন্য শিল্পের প্রতিশ্রুতি, বিশেষ রিসাইক্লিং-এ সক্ষমতা তৈরি এবং সার্কুলার অর্থনীতি গ্রহণে শিল্পের প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরেন।

এমআই/এসকেডি