সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ টাকা। যা ২০২২ সালের একই সময়েছিল ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ একক মাস হিসেবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

তবে একক মাস হিসেবে রপ্তানি আয় বাড়লেও সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬৩ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার। আর আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।

রোববার (১ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রতিবেদন এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ইপিবির তথ্য মতে, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য এবং বাইসাইকেলসহ সকল খাত মিলে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩১ কোটি মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৩৯০কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ ৪০ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ডলার বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে।

তবে তার আগের মাস আগস্টে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার ইউএস ডলার। চলতি বছরের আগস্ট মাসের তুলনায়ও সেপ্টেম্ব মাসে রপ্তানি আয় কমেছে।

সব মিলে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তিন মাসে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ছিল ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বিশ্ববাজারে রপ্তানি বেড়েছে।

এই তিন মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৮কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ২ দশমিক ১৭ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রপ্তানি আয় হয়েছে।

খাতওয়ারি রপ্তানি আয়ের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পণ্য রপ্তানির ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৬২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে ৬৭৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৪৮৫ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ সময়ে নিট পোশাকে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ দশমিক ৬৭, হোম টেক্সটাইলে ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চামড়াবিহীন জুতায় ১ শতাংশ ও হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ কমেছে।

এমআই/এমএ