একজন করদাতাকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিবছরই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে অনেক সময়ে অনিচ্ছাকৃত ভুল হতে পারে। কিন্তু দাখিল হয়ে গেছে।

স্বাভাবিকভাবে করদাতাদের মনে ভয় কাজ করে, আয়কর ফাইল আবার অডিটে পড়ে গেলো কি না বা নতুন কোনো হয়রানির স্বীকার হতে হয় কি না ইত্যাদি। কিন্তু আপনি জানেন আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ১৮০ দিনের মধ্যে করদাতা চাইলেই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই, উপায় আছে।

কীভাবে রিটার্নের ভুল সংশোধন করবেন

রিটার্ন দাখিলের পর যদি করদাতার কাছে মনে হয় যে ভুল হয়েছে, তাহলে তিনি চাইলে তা সংশোধনের সুযোগ পাবেন কিংবা তিনি সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের আয়কর নির্দেশিকা অনুসারে প্রদর্শিত আয় সংক্রান্ত, দাবি করা কর অব্যাহতি বা ক্রেডিট কিংবা অন্য কোনো কারণ থাকলে তিনি ভুল সংশোধনের সুযোগ পাবেন। 

আরও পড়ুন : যেসব ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়

এক্ষেত্রে করদাতা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের কারণ সংবলিত একটি লিখিত বিবৃতি দাখিল করবেন। তবে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করার কিছু নিয়ম রয়েছে-
যথা- রিটার্ন দাখিল করার তারিখ হতে ১৮০ দিন শেষ হওয়ার পর, সংশোধিত রিটার্ন প্রথম দাখিলের পর এবং মূল রিটার্নটি ধারা ১৮২ এর অধীনে অডিটের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর।

যেমন- কোনো করদাতার প্রকৃত কর ১২ হাজার টাকা। কিন্তু এ বছর করমুক্ত আয়সীমা ও করহার পরিবর্তনের কারণে হয়তো ভুলে ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করে ফেলেছেন তাহলে হিসাবজনিত ভুলের কারণ উল্লেখ করতে হবে।

আরও পড়ুন : রিটার্ন দিলে ২২ খাতের আয়ে দিতে হবে না কর

আপনি ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমার পর উপকর কমিশনার যদি সন্তুষ্ট হন যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে, তাহলে তিনি রিটার্নটি গ্রহণ করবেন। প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেবেন।
 
মনে রাখতে হবে, রিটার্ন জমার ১৮০ দিন বা ৬ মাস পার হয়ে গেলে কিংবা আপনার রিটার্নটি নিরীক্ষার জন্য বাছাই করা হলে ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে না। 

কোনো করদাতা যদি এ তথ্য না জেনে ভুল সংশোধনী রিটার্ন জমা দিয়ে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে তা সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলে গ্রহণযোগ্য হবে না।
 
আরএম/এসএম