ঢাকা এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি জিডিপিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এমন মন্তব্য করে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, ঢাকা শহর প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তার মধ্যে যানজট সমস্যাটি অন্যতম। এটি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ প্রকল্পসমূহ যেমন পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতুসহ বেশকিছু ফাস্ট ট্র্যাক বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ ও দ্রুত বাস্তবায়নে সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, উড়াল সড়কটির প্রথম অংশের কাজের উদ্বোধন আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও বেগবান করবে, ঢাকার পরিবহন সংযোগকে গতিশীল করার সাথে সাথে যানজট নিরসন, যানজট দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য চ্যালেজ্ঞ দূরীকরণ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে। অবকাঠমোখাতের বহুল প্রত্যাশিত এ বৃহৎ প্রকল্পটি স্থানীয় সাপ্লাই চেইন নেটওয়ার্ক ও ব্যবসায়ী কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রাখবে।

সামীর সাত্তার বলেন, যাত্রী, সাধারণ জনগণ, বিনিয়োগকারী এবং ঢাকার উদ্যোক্তাগণ এই প্রকল্প থেকে আগামী দিনগুলোতে বেশ উপকৃত হবেন কারণ এটি স্থানীয় অন্তঃসংযোগ জোরদার করার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল নিশ্চিত করবে এবং নগরবাসীর ওপর ট্রাফিক জ্যামের নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে আনবে।

বর্তমান সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পসমূহের আওতাধীন যোগাযোগ অবকাঠামোর এ বিশাল প্রকল্পটি ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, যা রাজধানীতে বসবাসকারী সাধারণ জনগণসহ উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের সার্বিক কার্যক্রমে বহুমাত্রিক পরিবর্তন আনবে। যানজটের কারণে পূর্বে যে শ্রমঘণ্টা নষ্ট হতো তা অনেকাংশে কমে আসবে বলে তিনি ধারণা করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, রাজধানীর পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থায় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারায় ঢাকা এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এটি আমাদের স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন নির্ভর অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্য অর্জনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে। বহুল প্রত্যাশিত এ উড়াল সড়কটি রপ্তানিকারকদের গাজীপুর এবং সাভার থেকে উৎপাদিত পণ্য স্বল্প খরচে ও দ্রুততম সময়ে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে, যা আমাদের স্থানীয় বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।  
 
সামনের দিনগুলোতে এটি দেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর অবদান রাখবে বলেও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার আশা প্রকাশ করেন।

আরএম/এমএ