উৎসে ভ্যাটে ফাঁকি দেওয়া ১২ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী সই করা এক চিঠি সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জেনেক্স ইনফোসিসে অডিট করে বিগত দুই বছরে ওই ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদ্‌ঘাটন করে দাবিনামা জারি করে। এরপর সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার (২০ আগস্ট) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ২০১৯ এর জুন থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎস ভ্যাট বাবদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৯ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। যেখানে ৮৬ হাজার ৬৪২ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে। সবমিলিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা ভ্যাট বকেয়ার বিষয়টি ভ্যাট গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।

একইসঙ্গে আনিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফাঁকিকৃত ভ্যাটের সঙ্গে একমত পোষণ করে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করে ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটকে অবহিত করেছে। যে কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ৮৫ ধারা অনুযায়ী আপত্তিটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

ডিজিটাল মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট সংগ্রহ করতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসাতে এনবিআরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। চুক্তি স্বাক্ষরের আট মাস পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম উদ্বোধন হয়নি এখনো।

২০২২ সালের ৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী- প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণীবিতানে ইএফডি মেশিন বসাবে। বিনিময়ে প্রতি ১০০ টাকা ভ্যাটে ৫২ পয়সা কমিশন হিসেবে পাবে।

শর্তানুযায়ী, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডকে প্রতিটি জোনে প্রথম বছরে ন্যূনতম ২০ হাজার ইএফডি-এসডিসি সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। চুক্তির পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি জোনে মোট এক লাখ করে তিনটি জোনে পর্যায়ক্রমে ৩ লাখ ইএফডি এবং সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে।

এ সেবা দেওয়ার ফলে সরকারের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) আহরণ বাড়বে। একইসঙ্গে প্রতি বছর কোম্পানিটির ২১২ কোটি টাকা আয় বাড়বে বলে আশা করছে এনবিআর।

আরএম/এমজে