মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রতিরোধে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনে খোলা থাকছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব শুল্ক স্টেশন।

করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় আগামী ৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। তবে জরুরি সেবার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর থেকে শিগগিরই শুল্ক স্টেশন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের জরুরি সেবার অংশ হিসাবে বরাবরের মতো এনবিআরের আওতাধীন সব শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। তবে লকডাউনের বিষয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর এনবিআর থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া যাবে শুল্ক স্টেশনগুলোতে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টম হাউস কমিশনার মো. ফখরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগে সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দিন-রাত কাজ করে গেছেন আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল রাখতে আমরা সবসময় তৎপর ছিলাম ও থাকব।

এনবিআর থেকে আরও জানা যায়, এর আগের সাধারণ ছুটির সময়ে এনবিআর থেকে সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশনা দিলেও কাজের প্রয়োজনে কোনো কোনো শুল্ক স্টেশনে দিন-রাত হয়েছে আমদানি-রফতানির কাজ। কাস্টম হাউসগুলোর মধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউস, কমলাপুর আইসিডি কাস্টমস, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ও বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাজের চাপ একটু বেশি থাকে।

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এনবিআরের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আট জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা গেছেন। তারা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মজুমদার, খোরশেদ আলম, সুকানী মো. কায়কোবাদ, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কবির হোসেন শিকদার, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রহমত আলী, মো. ইদ্রিস আলী মন্ডল ও আনোয়ার জাবেদ। সবশেষ কমিশনার হোসাইন আহমেদ করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ৪০০ কি.মি., যার শতকরা ৯২ শতাংশ ভারতের সঙ্গে এবং বাকি ৮ শতাংশ মিয়ানমারের সঙ্গে। পুরো সীমান্তে ছোট-বড় ১৮১টি শুল্ক স্টেশন আছে যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন। যার মধ্যে ২৪টি শুল্ক স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। আর বাংলাদেশে স্থলবন্দর চালু রয়েছে ১২টি। 

আরএম/জেডএস