আট মাসেও যাত্রা শুরু হয়নি জেনেক্সের ইএফডি
ডিজিটাল মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট সংগ্রহ করতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসানোর কাজে গতি ফেরাতে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরের আট মাস পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম উদ্বোধন হয়নি এখনো। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণীবিতানে ইএফডি মেশিন বসাবে। বিনিময়ে প্রতি ১০০ টাকা ভ্যাটে ৫২ পয়সা কমিশন হিসেবে পাবে।
বিজ্ঞাপন
শর্তানুযায়ী, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডকে প্রতিটি জোনে প্রথম বছরে ন্যূনতম ২০ হাজার ইএফডি-এসডিসি সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। চুক্তির পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি জোনে মোট এক লাখ করে তিনটি জোনে পর্যায়ক্রমে ৩ লাখ ইএফডি এবং সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। এ সেবা দেওয়ার ফলে সরকারের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) আহরণ বাড়বে। আর এনবিআরকে উল্লেখিত সেবা দিতে পারলে কোম্পানিটির প্রতি বছর ২১২ কোটি টাকা আয় বাড়বে বলে আশা করছে এনবিআর।
সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে ইএফডি কেনা, দোকানে বসানো ও রক্ষণাবেক্ষণ পুরো প্রক্রিয়াটিকে জেনেক্সের হাতে তুলে দিয়ে ইএফডিতে সফল হতে চায় এনবিআর। কিন্তু চুক্তির আট মাস পেরিয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি।
পেছনের কারণ হিসেবে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জেনেক্সের এই কার্যক্রমে এনবিআরের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্ভারও যুক্ত করতে হবে। সার্ভার এখনও প্রস্তুত হয়নি। প্রথমে ২৫০টি মেশিন দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করার লক্ষ্য থাকলেও এনবিআর চেয়ারম্যান পরে এক হাজার মেশিন দিয়ে কার্যক্রমের কথা বলেছেন।
এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত নয় হাজার ৪৪৯টি ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মূসক নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চার লাখ ৩২ হাজার ৯৫৫টি। বড় বড় শহরের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেশ ভালো, এমন উপজেলা সদরের দোকানপাটেও আগামী পাঁচ বছরে ভ্যাটের মেশিন বসানো হবে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব না দিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া যেতো। এছাড়া সবাইকে একসঙ্গে ইএফডির আওতায় না আনলে বৈষম্য তৈরি হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অনেক ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে জেনেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রায় বিশ হাজারের মতো ইএফডি মেশিনের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) করা হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ হাজার ইতোমধ্যে হাতে পৌঁছেছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন।
আরএম/এসএম