গরুর মাংসের কেজি ৮০০, ডিমের ডজন ১৪০ টাকা
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমছেই না। পণ্যভেদে দাম ২০-৫০ টাকা করে বেড়েই চলছে। মাঝে মধ্যে দু’একটি পণ্যের দাম কমলেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারের চারুলতা মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিজ্ঞাপন
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির লাল ডিম গত সপ্তাহে ১৪৫ টাকা ডজন বিক্রি হলেও সেটি আজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ফার্মের সাদা ডিমের ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও তা কিছুটা কমে ১৬০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারে ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, রুই ৩০০-৪০০ টাকা, পাঙাস ২০০-২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, পুঁটি ৮০০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা এবং কই মাছ ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে তেমন ক্রেতা চোখে পড়েনি। পুরো বাজারে ২০-২৫ জন বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিলেন হাতে গোনা ১০-১৫ জন।
বাজারে আসা ক্রেতা মঞ্জু মিয়া বলেন, এখন আর বাজারে এসে ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারি না। মাংস আর আলু-পেঁয়াজ কিনলেই এক হাজার টাকা শেষ। মাছের বাজারও আগের মতো নেই, সেখানেও এখন আগুন। আগের এক-দুইশ টাকায় মাছ পাওয়া যেত। আর এখন ২৫০ গ্রাম মাছের দামই হয় এক-দুইশ টাকা।
তিনি আরও বলেন, বাজারে অনেকদিন পর পুঁটি মাছ দেখে দাম করলাম, বলল ৮০০ টাকা কেজি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বাজারে এসে মাছ শুধু দেখতে হবে।
/এমএইচএন/এসএসএইচ/