অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ
ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে। তবে সুখবর হলো অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে অপ্রচলিত বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বুধবার (১২জুলাই) পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ইপিবির ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তথ্য মতে, বিগত অর্থবছরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) দেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তবে একই সময়ে জার্মানি এবং পোল্যান্ডের মতো ইইউভুক্ত কিছু বড় বাজারে এ রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৭, ২ দশমিক ৯৪, ২ দশমিক ২৭, ১ দশমিক ২৮ ও ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মোট পোশাক রপ্তানিতে অপ্রচলিত বাজারের অংশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ইউরোপের বাজারে ২০২১-২২ অর্থবছরে তুলনায় এবার রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৩ দশমিকব ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তবে ইউরোপের কয়েকটি বড় বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানি কমেছে। অন্যদিকে ইতিবাচক দিক হলো, অপ্রচলিত বাজার বিশেষ করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বাজারে রপ্তানি বাড়ছে।
এমআই/কেএ