আগামী ২২ জুন থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিং প্রদর্শনী ইনটেক্স বাংলাদেশের ১১তম আসর। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রিমিয়ার আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সোর্সিং প্রদর্শনী হিসেবে সু-প্রতিষ্ঠিত এ ইনটেক্স বাংলাদেশ।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আসিসিবি) হল ২ এবং ৪ এ  তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর হবে। প্রদর্শনী শেষ হবে ২৪ জুন।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, ইনটেক্স বাংলাদেশ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের একত্রিত করে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। পূর্বের ১০টি আয়োজনে ৩৫টিরও বেশি দেশের ৪০ হাজারের অধিক সংখ্যক তৈরি পোশাক খাতের ক্রেতা ও ১৫০০’র বেশি বস্ত্র সরবরাহকারীদের সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

ইনটেক্স বাংলাদেশের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্লডেক্স  ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক আরতি ভগত বলেন, পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক সোর্সিংয়ের ব্যবধান পূরণে বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) অংশীদারদের একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের ক্ষেত্রে ইনটেক্স বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংশ্লিষ্ট খাতের গোটা বিশ্বের মানসম্পন্ন সরবরাহকারীর উপস্থিতি বাংলাদেশি শিল্পকে আরও বেশি মূল্য সংযোজন উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হতে, আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যকে জোরদার করবে, যাতে সামগ্রিকভাবে দেশীয় পোশাক শিল্পের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি পায়।

এবারের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধান অতিথি এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সম্মানীত অতিথি থাকবেন।

প্রদর্শনীতে কৌশলগত অংশীদার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও ইনটেক্স বাংলাদেশের ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়ন সংগঠক হিসেবে কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (টেক্সপ্রোসিল) এবং পাওয়ারলুম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (পিডিএক্সসিল) অংশগ্রহণ করবে।

ইনটেক্স বাংলাদেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, হংকং, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের পোশাক শিল্প খাতের সরবরাহকারীদের কেন্দ্রীভূত করেছে, যাদের পণ্য, পরিষেবা এবং বিভিন্ন সমাধান বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) উন্নয়নে সহায়তা করবে। টেকসই ও প্রতিযোতিামূলক ব্যবসার পুনর্নির্মাণ, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর দেশীয় খাত সংশ্লিষ্টদের লক্ষ্য জোরদার করতে সহায়তা করবে।

এ আয়োজনে প্রদর্শক এবং ক্রেতারা ইন্টারেক্টিভ বিজনেস ফোরাম (আইবিএফ) ও একাধিক সেমিনারে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন, যেখানে কিউরেটেড সেশন এবং প্যানেল আলোচনা তৈরি পোশাক শিল্পকে উন্নত করতে এবং মানসম্পন্ন বাজার বুদ্ধিমত্তা প্রদান করবে, যাতে পোশাক শিল্পের উৎপাদনকারীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার কৌশলগত ধারণা পান। 

এআর/এসকেডি