সংবাদপত্রের কাঁচামাল কাগজের ওপর প্রযোজ্য ৩০ শতাংশ শুল্ক-কর প্রত্যাহার চেয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

বুধবার (২৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় নোয়াবের পক্ষে নেতৃবৃন্দ এ দাবি করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ভার্চুয়ালি এ আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।  

সভায় এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, ভ্যাট নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিকসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একই সময় সভায় নোয়াবের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন (ভার্চুয়ালি) সভাপতি এ কে আজাদ। অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) নেতা মোজাম্মেল বাবু।

সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, কিছু কিছু শিল্পের মূল কাঁচামালের ওপর শূন্য শুল্ক আছে। অথচ সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল কাগজের ওপর ৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। করোনার কারণে এমনিতে সংবাদপত্র প্রকাশের খরচ মেটানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা নিয়ে নোয়াব শুল্ক-কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিচ্ছে।

কাগজ আমদানির শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুধু রাজস্ব সংগ্রহের কাজ করে না। এই প্রতিষ্ঠান রাজস্বের পাশাপাশি দেশীয় শিল্প সুরক্ষায়ও কাজ করছে। দেশ বর্তমানে টাকা তৈরির কাগজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু পত্রিকার কাগজ উৎপাদন কেন পারছে না তা আমরা খতিয়ে দেখব। যদি দেখা যায়, আমাদের পত্রিকা শিল্পে সম্পূর্ণভাবে কাগজ আমদানিনি্র্ভর, তাহলে সুবিধা দেওয়া যেতে পারে।

সভায় মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, করোনা সংবাদপত্র শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এনবিআরের সহায়তা চাই। কাগজের আমদানি শুল্ক ও করপোরেট কর কমানোর দাবি করছি।

আরএম/আরএইচ