আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পরিপালনে প্রয়োজনীয় খাতে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হলে বৈষম্য আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) 

সোমবার (১৫মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'আইএমএফর সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে?' শীর্ষক সংলাপে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশে আগে থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এখন আইএমএফের শর্ত পরিপালনে প্রয়োজনীয় খাতে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হলে এ বৈষম্য আরও বেড়ে যেতে পারে। যেসব দেশে আইএমএফের কর্মসূচি চালু আছে সেসব দেশে বৈষম্য বাড়ছে। বাংলাদেশ আইএমএফ-এর কাছে থেকে ৫৭০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ বেশ কিছু সংস্কারমূলক কর্মসূচি শুরু করেছে। এমনিতেই বাংলাদেশে বৈষম্য বেশি, আইএমএফ-এর কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বৈষম্য আরও বাড়াবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি, যা দিয়েছে তা শর্ত নয়। এগুলোকে শর্ত বলা ঠিক নয়। বলা যেতে পারে রিকয়ারমেন্ট। আইএমএফ এখানে কোনো ফ্যাক্টর নয় এবং আমরা আইএমএফের ওপর নির্ভরশীল নই।

অন্যদিকে সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে সরকারের কর ব্যয় জিডিপির শতাংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম। সরকার অনেক টাকা খরচ করছে না। ট্যাক্স জিডিপি রেশিও সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে কম দক্ষিণ এশিয়ায়। যাদের কর দেওয়ার কথা তারা কর দেন না। সরকার ব্যয় ও করতে পারে না।

তিনি বলেন, দেশের বড় অংশের মানুষকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন সম্ভব না। ক্রয়ক্ষমতা না থাকলে উৎপাদক কোথায় পণ্য বিক্রি করবে। ট্যাক্স যাদের কাছ থেকে আদায় করা দরকার তাদের কাছ থেকে আদায়ে উদ্যোগী হবেন। আশা করছি এবারের বাজেটে ঋণ খেলাপি, কর খেলাপিদের সুযোগ বা প্রণোদিত করার ব্যবস্থা থাকবে না। তাদের আইনের আওতার আনার ব্যবস্থা করা দরকার।

আরএম/জেডএস