বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) দেওয়া শর্তের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার (২ মে) বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এর আগে আগারগাঁওয়ে বিবিএস মহাপরিচালকের দপ্তরে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বৈঠকে করে। বৈঠকে আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে মূল্যস্ফীতি (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স), জিডিপি (গ্রোস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট) এবং ত্রৈমাসিক জিডিপির তথ্যের অগ্রগতি চাওয়া হয়। এসব বিষয়ে আইএমএফকে অবগত করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আজকের বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধি দল স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিক তথ্য চেয়েছে।

বিবিএস ডিজি মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনটা কাজের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিনিধি দল জানতে চেয়েছে আমরাও তাদের অবগত করেছি। আমরা বলেছিলাম জিডিপি তথ্য স্বাধীনতার পর থেকে বই আকারে প্রকাশ করব, তাই করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির নতুন মেথডের বিষয়ে জানতে চেয়েছে আমরা এ বিষয়েও তাদের অবগত করেছি।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ মূল্যস্ফীতির নতুন মেথডে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। মূল্যস্ফীতির হিসাব যেভাবে করি এই পদ্ধতিতে আর করছি না এটার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সারা বিশ্বে ৯৫ শতাংশ দেশ আইএমএফ-এর মিক্স মেথডে মূল্যস্ফীতি বের করছে। নতুন মূল্যস্ফীতিতে খাদ্যপণ্য ১৫৩ এর জায়গায় ২৬৩টি হবে। ৭২০ পণ্য মিক্সড মেথডে স্থান পাবে। নতুন মেথডে সিপিআই প্রকাশ হবে। এই বিষয়গুলোর অগ্রগতি জেনে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের প্রায় সব দেশ জিডিপির হিসাব বছরে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতেই প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশ করে বছরে একবার। প্রকৃত জিডিপির হিসাব কমতির দিকে থাকলে তা প্রকাশ করতে দেড় থেকে দুই বছর লাগিয়ে দেওয়ার উদাহরণও রয়েছে দেশে। আবার যে কাজ বিবিএস করার কথা, তা অনেক সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ও করে বসে।

ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তথ্য বছরে চারবার প্রকাশ করবে সরকার। তবে তা শুরু হবে ২০২৪ পঞ্জিকা বছর থেকে। তথ্য উপাত্ত নিয়ে আমরা কাজ করছি।  আইএমএফ এই বিষয়ে জানতেও চেয়েছে।

এসআর/এসকেডি