ঈদে পাঞ্জাবি কিনবেন জামালপুরের বাসিন্দা রাশেদ রায়হান। ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ ফ্যাশন হাউস সেইলরের একটি পাঞ্জাবি পছন্দ হয়ে যায় তার। সে মোতাবেক অনলাইনে অর্ডারও করে ফেলেন। বিকাশে ২২৯০ টাকা পরিশোধ করে পেয়ে যান ১৫০ টাকা ক্যাশব্যাকও। এতেই খুশি রায়হান। কারণ কষ্ট করে ঢাকায় না এসেই কিনে ফেলেছেন পছন্দের জামা। সেই সঙ্গে মিলেছে ছাড়ও।

রাশেদ রায়হানের মতো ঈদে শপিং সেন্টার বা অনলাইনে পছন্দের জামা, জুতা, অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য কিনে বিকাশে  পেমেন্ট করে ক্যাশব্যাক সুবিধা উপভোগ করছেন অসংখ্য তরুণ ক্রেতা। শুধুমাত্র জামা-কাপড়-জুতা-সাজগোজের পণ্যই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, মোবাইল, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, আসবাব, খাদ্যপণ্যসহ বিশাল পণ্য সমারোহে মিলছে বিকাশের ক্যাশব্যাক সুবিধা। বরাবরের মতো এবারও উৎসবে ব্র্যান্ড আউটলেট, ছোট বড় দোকান, সুপারশপ, গ্রোসারিশপ, রেস্টুরেন্টসহ অনলাইন, ফেসবুক শপে কেনাকাটায় গ্রাহকরা পাচ্ছেন এই ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট কুপন। এ সুবিধা ক্রেতাকে সহজে ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে দিচ্ছে বাড়তি আনন্দ।

মোবাইলে পেমেন্টের কারণে অনেক কাজ সহজ হয়ে গেছে জানিয়ে জামালপুরের রাশেদ রায়হান বলেন, বিকাশ পেমেন্ট সময় বাঁচে আর ঝামেলা কমে যায়। এবার ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের টিকিটসহ সবই পেমেন্ট করেছি বিকাশে। সব মিলিয়ে ঈদ মানেই এখন বিকাশ পেমেন্ট। 

সহজ বলেই বিকাশে লেনদেন করি জানিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী লাবিবা আনজুমি কবির বলেন, ২০১৮ সাল থেকে বিকাশ ব্যবহার করছি। ক্যাশ আউট, মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন কেনাকাটার পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার এগুলোই বেশি করা হয়।

তিনি জানান, স্টুডেন্টরা অল্পতেই খুশি হয়। যেমন মোবাইল রিচার্জের সময় একটা ছোট্ট ক্যাশব্যাক দেয় হঠাৎ অফার দেয় আজকে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ফিফটি পার্সেন্ট ক্যাশব্যাক এটা খুব পছন্দ আমার। আবার যখন শপিংয়ে যাই তখনো বেশিরভাগ সময়ই বিকাশে পেমেন্ট করি বিভিন্ন ছাড় পাওয়া যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা বাসা থেকে ক্যাশ টাকা নিয়ে যাওয়া লাগে না, বুথে গিয়ে টাকা তুলতে হয় না। তাই বিকাশে টাকা নেওয়াই সবচেয়ে ইউজফুল মনে করি।

অনেক ক্ষেত্রে বিকাশ বহুগুণ আনন্দ বাড়িয়ে দেয় জানিয়ে লাবিবা বলেন, কয়েকদিন আগে কয়েকজন বন্ধুসহ গুলশান লেকশোর হোটেলে গিয়েছিলাম ইফতার করতে। সেখানে দেখলাম বিকাশে পেমেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি। আমরা দুই জনের বাজেটে বুফে চারজন ইফতার করেছি এটা খুব আনন্দ ছিল বলে বুঝানো যাবে না।

বিকাশে ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন করা যায় এটাই আমার পছন্দ বলছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মুহাম্মাদ ইনতিছার মাহমুদ। তিনি বলেন, নতুন কিছু পেলেই ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিকাশে যেসব অফার দেয়। বিশেষ করে অনলাইন কেনাকাটায়, এটা আমার কাছে খুবই চমকপ্রদ মনে হয়। যারা আমার মতো বিকাশ ব্যবহারকারী তারা এটা খুব উপভোগ করেন। 

তিনি জানান, কিছু কেনাকাটা করা দরকার বা কোন পণ্য পছন্দ হলে ক্যাশ টাকার চিন্তা করতে হয় না। বিকাশ থাকলেও চলে। আবার বিকাশে টাকা না থাকলে অ্যাড মানি সুযোগ রয়েছে। পেমেন্টের জন্য চিন্তা করতে হচ্ছে না। এছাড়া যেকোনো এন্টারটেইনমেন্ট, মুভি বা নাটক গেমস সবকিছুর জন্য ওটিটি ও অন্যান্য প্লাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন সহজেই নেয়া যাচ্ছে বিকাশ পেমেন্টে। তরুণদের এন্টারটেইনমেন্ট জগৎজুড়ে আছে বিকাশ পেমেন্ট।

এখন পণ্য বা সেবা কেনাকাটার সব লেনদেনেই বিকাশে হয় জানিয়ে তরুণ চাকরীজীবী হাসিবুল হাসান বলেন, কোনো পণ্য কিনবো, সেবা নিব আগে দেখি বিকাশে পেমেন্টের সুবিধা আছে কি না। বাসার এসি সার্ভিসিং করাতে ফোন করলাম একটা সেবা প্রতিষ্ঠানে। ওরা অফার দিল পেমেন্ট বিকাশে করলে ২০ শতাংশ ছাড়। 

যখনই প্রয়োজন তখনই বিকাশ ব্যবহার করছেন শিক্ষার্থী অনামিকা। জানালেন ফেসবুকে দেখলাম টেন মিনিট স্কুলে বিসিএস কোর্সে ছাড় চলছে। কিন্তু যখন চোখে পড়লো তখন অফারের সময় শেষ হতে কয়েক ঘণ্টা বাকি। ওই সময়ে বাহিরে যাওয়া সম্ভব নয়। পরে বিকাশ পেমেন্ট করে ঘরে বসেই কোর্স কমপ্লিটের সুযোগ নিয়ে নিলাম প্রায় অর্ধেক টাকায়।

প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্মের সারাক্ষণের সঙ্গী মোবাইল ফোন। আর স্মার্ট তরুণরা তাদের স্মার্ট লেনদেনে ভরসা রাখেন বিকাশের মত আর্থিক সেবাগুলোতেই। তরুণ প্রজন্মের মোবাইল ওয়ালেট এখন ডিজিটাল ওয়ালেট। আগামীর ক্যাশলেস সমাজের অগ্রজ তারা। 

বিকাশ

প্রতিদিন সারাদেশে নোবেলের মত কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অংশ এখন বিকাশ। সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদের কেনাকাটাকে আরো সাশ্রয়ী আর রঙিন করে তুলতে প্রতি বছরের মতো এবারও অফার নিয়ে এসেছে বিকাশ। এখন কোটি মানুষের কাছে ঈদের কেনাকাটা মানেই বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটা। বড় বড় মার্কেটগুলোর পাশাপাশি এখন অলিগলির ছোট মুদি দোকানগুলোতেও বিকাশ পেমেন্টের সুযোগ রয়েছে, অনলাইন কেনাকাটা তো আছেই। সারাদেশে প্রায় ৫,৫০,০০০ মার্চেন্ট রয়েছে বিকাশের। এবারের ঈদ কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্ট করে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট কুপন পেতে পারেন। আর রমজানের ইফতার-সেহরিতে আছে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

এসআই/এমজে