চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ইউরোপের বাজারে মোট ৯ হাজার ৫১৭ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি হয়েছে ২১১৮ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার।

আর চীন রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ফলে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে চীন আর বাংলাদেশ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। 

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, গত বছরের (২০২২) জানুয়ারি থেকে নভেম্বর সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব থেকে ৯৫ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। বা শতাংশের হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

একই সময়ে ইইউ বাংলাদেশ থেকে ২১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। কারণ বাংলাদেশ ইইউ এর জন্য পোশাক আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৩০ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার।

অপর দিকে চীন ২৯ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে ইইউ’তে সর্ববৃহৎ পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২২ সালের প্রথম এগারো মাসে চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ২৭ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ আগে বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ২৯শতাংশ ।

একই সময়ে তুরস্ক থেকে আমদানিও পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১দশমিক ৫৬শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ১১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকেও আমদানি ৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।

এমআই/এমএ