বাজুস জুয়েলারি মেলায় ছাড়-অফারের ছড়াছড়ি
দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার আশায় দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে বাজুস ফেয়ার। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই মেলায় গহনাপ্রেমী আর দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মেলায় চলছে অফারের ছড়াছড়ি।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।
বিজ্ঞাপন
আয়োজকরা জানান, বাজুস আয়োজিত এই মেলা চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় স্বর্ণের অলংকারের ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল আছে। সেগুলোতে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগছে না। ক্রেতা-দর্শণার্থীদের জন্য র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলঙ্কার ক্রয় করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র্যাফেল ড্র-এর কুপন সংগ্রহ করবেন। র্যাফেল ড্রতে রয়েছে নানা পুরস্কার। এছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফারও দিচ্ছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে স্বামীসহ এই মেলায় এসেছেন সুপ্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, জুয়েলারি পণ্যের সমাহারসহ নতুন ডিজাইনের অলংকার দেখতেই এই মেলায় এসেছি। শুনেছি এই মেলায় সব স্টলেই অফার আর ছাড় দিচ্ছে। স্টলগুলো ঘুরে তাদের বিভিন্ন অফার জানলাম। কেউ ডিসকাউন্ট দিচ্ছে, কেউ স্ক্র্যাচ কার্ড দিচ্ছে।
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গহনার মজুরির ওপর ছাড় দিয়েছে। আমার মতো অনেক গহনাপ্রেমী এখানে এসেছেন। সবাই বিভিন্ন স্টল ঘুরে অফারগুলো জানছেন- বলেন তিনি।
মেলায় অংশ নেওয়া গৌরব জুয়েলার্সের কর্মকর্তা সুজন কুমার বলেন, উদ্বোধনের পর থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারা ছাড়ের বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা ৫০ হাজার টাকার কেনাকাটায় নিশ্চিত ক্যাশব্যাকসহ নানা অফার দিচ্ছি। প্রতিটি স্টলেই এমন নিশ্চিত সব উপহার, ছাড় ও অফার রয়েছে।
এবার বাজুস ফেয়ারে ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টলে ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
এএসএস/ওএফ