বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায় আড়াই কোটি টাকা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পণ্য বিক্রয়ের ওপর আড়াই কোটি টাকার বেশি ভ্যাট আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ।
ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়েছে। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৯০ লাখ টাকা বেশি। ওই বছর পণ্য বিক্রয়ের ওপর থেকে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছিল। বাণিজ্য মেলা থেকে আদায়কৃত ভ্যাটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
মেলায় ভ্যাট আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার মো. ইফতেখার আলম ভূঁইয়া বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের অফিসের আওতায় উপকমিশনার ও সহকারী কমিশনারের নেতৃত্ব ৮টি টিম ধারাবাহিকভাবে ভ্যাট সংগ্রহের কাজ করেছে। স্বল্প জনবল দিয়ে সকল দোকান বা প্যাভিলিয়নের নজরদারি করার চেষ্টা করেছি। মেলায় পণ্য বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাণিজ্য মেলার ঘোষণা অনুযায়ী, প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হলেও ভ্যাট আদায় কেন কম হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ভ্যাট কর্মকর্তা বলেন, বাণিজ্য মেলায় সাধারণ পণ্য বিক্রয়ের অর্ডার দেওয়া হয়। ফার্নিচার ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বেশ কিছু খাত রয়েছে, যা অর্ডার হিসাবে মেলায় অগ্রিম পেমেন্ট করা হয়। ফলে পুরো ভ্যাটের টাকা আমাদের অফিস পায় না। অন্যদিকে কুটির শিল্প ও হস্তশিল্প টাইপের বেশ কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া আছে। সে কারণে ভ্যাট আদায় কম হয়েছে।
মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাণিজ্য মেলা খোলা ছিল। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিট পাওয়া গেছে। সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সংখ্যক বিআরটিসির ডেডিকেটেড শাটল বাস নিয়মিত চলাচল করে।
মেলায় ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালের মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিশিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস , স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্ট ফুড, হস্তশিল্প, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়।
বাণিজ্য মেলায় আনুমানিক ৩০.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৩০০ কোটি টাকা) রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। মেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরএম/ওএফ