ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পণ্য বিক্রয়ে বিপরীতে এখন পর্যন্ত ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর আজকের ভ্যাটের টাকা যোগ হলে তা দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে আয়োজিত মেলায় থাকা ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এপাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ২৬ দিন শেষে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয় বলে এর আগে জানানো হয়েছিল।

মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বাণিজ্য মেলা। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চালু থাকছে। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেলার টিকিটও কেনা যাচ্ছে।

মেলায় ভ্যাট আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এপাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার ইফতেখার আলম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের অফিসের আওতায় উপকমিশনার ও সহকারী কমিশনারের নেতৃত্ব ৮টি টিম ভ্যাট আদায়ে ধারবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রোস্টার পদ্ধতি টিমগুলো কাজ করে। এতো স্বল্প জনবল দিয়ে সব দোকান বা প্যাভিলিয়নের নজরদারি করা সম্ভব নয়। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে অপর এক ভ্যাট কর্মকর্তা বলেন, বাণিজ্য মেলায় সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয় ফার্নিচার খাত থেকে। কারণ এই খাতে অর্ডার সাধারণত বেশি হয়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এ খাতে এগ্রিম যতটুক দেয়, তার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পাওয়া যায়। যেখান থেকে পণ্য সরবরাহ করা হয়, সেখানে পুরো দাম দেওয়া হয়। ফলে ভ্যাটের সব অর্থ মেলা প্রাঙ্গণ থেকে আসে না। অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। সেই হিসেবে মেলার শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শনিবার) হওয়ার দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল শুক্রবারও মেলায় দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় ছিল। আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, শুক্রবার প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোক মেলায় এসেছিলেন।

ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে মেলা শুরু হয় ১ জানুয়ারি। শুরুর দিকে লোকসমাগম একেবারে ছিল না। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়।

বাণিজ্যমেলায় এবার ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২ দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

আরএম/এসএম