৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৪ হাজার কোটি টাকা
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৭১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর আগে চতুর্থ মাস অক্টোবর পর্যন্ত ঘাটতি ছিল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।
অর্থাৎ ঘাটতির বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিষ্ঠানটির আয়কর, ভ্যাট কিংবা শুল্ক তিন বিভাগেই ঘাটতি চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এনবিআর থেকে পাওয়া সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। যার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থবছরে জুলাই-ডিসেম্বর এই ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি বা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হয়েছে ১৩ হাজার ৭৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১০.১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন >> রাজস্ব আদায়ে ভাটার টান, ঘাটতি সাড়ে ৬ হাজার কোটি
এনবিআরের তিন বিভাগের মধ্যে ভ্যাট বা মূসক বিভাগে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব এসেছে। ৬ মাসে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ হাজার ১২৯ কোটি। অর্থাৎ ভ্যাটে ঘাটতি প্রায় এক হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৩.০৮ শতাংশ।
একই সময়ে আমদানি-রপ্তানিতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
একইভাবে ঘাটতি থেকে পিছিয়ে নেই আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত। এই বিভাগে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয়কর খাতে রাজস্ব ঘাটতি ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং আয়কর খাতে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।
পুরো অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাকি ৬ মাসে এনবিআরকে আরও প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে। এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বছর শেষে ঘাটতি দাঁড়িয়েছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
আরএম/জেডএস