পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩/ ঢাকা পোস্ট

রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বসেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩। আজ মেলার তৃতীয় দিন।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত মেলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানী থেকে দূরে হওয়ায় এখন পর্যন্ত রূপগঞ্জসহ মেলাস্থলের আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাই এর প্রধান দর্শনার্থী। রাজধানী থেকে এসেছেন একবোরেই হাতেগোনা কয়েকজন।

মেলার প্রধান ফটকে দর্শনার্থীদের প্রবেশের সারি নেই। সহজেই প্রবেশ করা যাচ্ছে। অল্প কয়েকজনকে একসঙ্গে অথবা ভাগে ভাগে ২/৩ জনকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এছাড়া সেখানে আর লোক বলতে আছেন প্রবেশ গেটের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্য আর মেলা কর্তৃপক্ষের কয়েকজন প্রতিনিধি।

গেট দিয়ে প্রবেশের পর চোখে পড়ে এক্সিবিশন সেন্টারের সামনে থাকা বিশাল চত্বর। এখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কিছু বেঞ্চ আছে। হাঁটা-চলা করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা আছে। আছে একটি দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা।

চত্বরটি চারপাশে ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো। মোটামুটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। এমন পরিবেশ পেয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ছবি তুলছেন একের পর এক। কেউ নিজে আর কেউ পরিবার বা অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হচ্ছেন।

মেলার খুব কাছের এলাকা গাজীপুরের কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়ন থেকে এসেছেন আল আমিন নামে এক তরুণ। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির কাছেই বাণিজ্য মেলার আসর বসেছে। তাই স্ত্রীকে নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছি। তবে এখনো কিছু কেনার পরিকল্পনা করিনি। আপাতত ঘুরে দেখছি। শেষের দিকে আবার আসব যখন পণ্যগুলোতে বিভিন্ন ছাড় থাকবে।

রূপগঞ্জ থেকে ৪ মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে আসা মতিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়েরা মেলায় নিয়ে আসার জন্য বায়না ধরেছিল। ভেবে দেখলাম, আর কয়েকদিন পর থেকে মেলায় ভিড় হবে। তখন নিয়ে আসলে ঠিকমতো ঘুরে দেখতে পারবে না। তাই এখন ওদের নিয়ে এসেছি। 

বিকেল ৪টার পর থেকে অনেককে মেলা থেকে বের হতে দেখা গেছে। তাদের অনেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন।

কুড়িল এলাকা থেকে আসা শামসুন নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোনকে নিয়ে এখানে দুপুর আড়াইটার দিকে এসেছিলাম। যেহেতু ৫টার পরপরই সন্ধ্যা হয়ে যায়, তাই এখনই রওনা দিচ্ছি। মেলা এখনো ঠিক জমেনি। এখনো কিছু কেনার মতো অবস্থাও হয়নি। বিভিন্ন পণ্য ঢাকার মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ছাড় দেওয়া শুরু হলে আবার আসব।

এমএইচএন/এফকে/জেএস