দুদকের মামলা
পিকে হালদারের সহযোগীও ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক
প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) আত্মীয় ও আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের পরিচালক প্রিতিশ কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
গত সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুদক জানায়, প্রিতিশ কুমার হালদার আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব দাখিল না করা ও ৪ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৮-২০১৯ হতে ২০২০-২০২১ করবর্ষ যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মোট ৪ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলোচিত পি কে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ৪৪টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ২৩টি মামলা ও এফএএস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ১৩ মামলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট ২০২১ সালের নভেম্বরে দাখিল করে দুদক। যেখানে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
আরএম/এসকেডি