সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়নের কারণে সংগঠনটি এ প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবের বিপরীতে নতুন করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৭ টাকা কমানো হয়। সেই দাম অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকা লিটার এবং ৫ লিটারের বোতল ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হলে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৯৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৫৫ টাকা ও খোলা সয়াবিনের প্রতি লিটারের দাম দাঁড়াবে ১৭৩ টাকায়।

সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনও নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে কিছু কোম্পানি তেলের বিক্রয়মূল্য বেশি রাখছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের সোনালী জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী দুলাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্যালনপ্রতি তেলের দাম এখন ১০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। জিজ্ঞেস করলে বলছে, তেলের দাম বেশি। এছাড়া, তীর কোম্পানি আগের তুলনায় সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

রাকিব জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তেলের দাম এখনো না বাড়লেও সামনে কায়দা করে বাড়ানো হবে। সরবরাহ কমিয়ে দিলে চাহিদা বেড়ে যাবে। তখন বাড়তি দাম দিয়ে মানুষ তেল কিনতে বাধ্য হবে।

এদিকে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আকতার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছু কোম্পানি মাঝে মাঝে সাপ্লাই কমিয়ে দেয়। তবে আপাতত কোনো সংকট নেই। আর সামনে দাম বাড়বে কিনা এটা নির্ভর করছে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর।

তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর এলসির কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে ফলাফল জানাবে। সে মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

ওএফএ/এমএইচএস