‘খাসি কিনতে এসে দেখি ১ হাজার টাকা কেজি’
বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। প্রতিকেজি খাসির মাংসে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। কিছুটা বেড়েছে ডিমের দামও। সপ্তাহের বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) মোহাম্মদপুরের টাউন হল কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ছুটির দিনে ঊর্ধ্বমুখী খাসির মাংসের বাজার। গত সপ্তাহে ৯০০ টাকা করে বিক্রি হওয়া খাসির মাংস আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, ১০ কেজির একটি খাসি কিনতে গেলে দাম রাখছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়া ক্রেতাও অনেক কমে গেছে। সবমিলিয়ে দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই।
খাসির মাংস কিনতে আসা আফরোজা বেগম বলেন, খাসির মাংস কিনতে এসে দেখি ১০০০ টাকা কেজি। এতো দাম হবে কল্পনাও করিনি। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে খাসির মাংস খাওয়ার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে হবে।
গত সপ্তাহের মতোই আজ বাজারে এক কেজি ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়। এছাড়া, দাম কমেছে দেশি ও পাকিস্তানি লাল মুরগির। গত সপ্তাহে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পাকিস্তানি লাল মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতিকেজি দেশি মুরগির দাম ৪০০-৪৫০ টাকা। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০০-৫২০ টাকায়।
টাউন হল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, দেশি মুরগির তুলনায় ফার্মের মুরগি বেশি বিক্রি হয়। দাম আগের সপ্তাহের মতোই আছে। তবে আগের তুলনায় অন্যান্য মুরগির বিক্রি কমেছে।
বাবুল হোসেন নামে এক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশি মুরগি কেনার ইচ্ছা থাকলেও এখনো দাম বেশি। তাই ফার্মের মুরগি নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। তবে এর দামও বাড়তি। কয়েকদিন পর হয়তো ২০০ করে কিনতে হবে।
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে। বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, দাম এক জায়গায় থাকলেও বিক্রি কম। আগে প্রতি শুক্রবার ৩-৪টা গরু বিক্রি করতাম। সেখানে এখন ১টা করছি।
সপ্তাহের বাজের কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।সাদা ডিমের দাম ১৩০ টাকা ডজন। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
বিক্রেতা কাউসার আহমেদ বলেন, মাঝখানে ডিমের দাম কমে ১২০-১৩০ টাকা হলেও এখন কিছুটা বেড়েছে। কারণ ফার্ম থেকে বেশি দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
ওএফ/এমএইচএস