করের আওতা বাড়াতে ডিপিডিসির সঙ্গে তথ্য বিনিময় করবে এনবিআর
করযোগ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনতে এবার ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ডেটাবেজ যাচাই করাসহ তথ্য বিনিময় করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এর অংশ হিসাবে ডিপিডিসি ও এনবিআরের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এনবিআরে এ বিষয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যেখানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থ বছরে করযোগ্য আয় করা ছাড়াও ৪০ ধরনের সেবা প্রাপ্তিতে একজন ব্যক্তির আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে— গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে অবশ্যই রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। শুধু তাই নয়, রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকারের প্রমাণ দেখাতে না পারলে বিচ্ছিন্ন করা হবে করদাতার গ্যাস কিংবা বিদ্যুতের লাইন।
ওই আদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসাবেই সমঝোতা স্মারক সই করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে সহযোগিতা চেয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে কয়েক দফায় চিঠি দিয়েছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে চিঠি ও এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ও দুটি সংস্থা রয়েছে। চারটি বিতরণ কোম্পানি হলো ডিপিডিসি, ডেসকো, নেসকো ও ওজোপাডিকো। আর দুটি সংস্থা হলো পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিবি। যেখানে সারা দেশে আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা চার কোটি ১৯ লাখ। আর বাণিজ্যিক সংযোগ রয়েছে চার লাখ ৮৬ হাজার।
অন্য দিকে দেশে গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানি রয়েছে ছয়টি। এগুলো হলো- তিতাস গ্যাস , কর্ণফুলী ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এবং সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। এখানে সারা দেশে আবাসিক ও বাণিজ্যিক বৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণকারী প্রায় ৪৪ লাখ গ্রাহক।
এছাড়া করের আওতা বৃদ্ধি ও আয়কর ফাঁকি বন্ধ করতে মোটরযান ও নৌ-যান, সকল ধরনের ট্রেড লাইসেন্স এবং ঠিকাদার তালিকাভুক্তি কিংবা নবায়নে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহনসহ ১০টি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এনবিআর চেয়ারম্যান ২০২১ সালের মার্চ মাসে এনবিআর থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠিগুলো দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
আরএম/এনএফ