দেশের বাজারে বিক্রির পাশাপাশি আগামী জানুয়ারি থেকে জাপানে রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি করবে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ লক্ষ্যে টোকিওতে একটি শাখা খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব সাদিয়া আফরিন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা রাইস ব্র্যান অয়েল ‘স্পন্দন’ জাপানে রপ্তানি করব। এ জন্য সেখানে শাখাও খোলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আশা করছি, আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে রপ্তানি করতে পারব। 

তবে কী পরিমাণ তেল রপ্তানি করা হবে তা বলতে পারেননি কোম্পানি সচিব সাদিয়া আফরিন।

দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিটি চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। সেই সময় তেল উৎপাদনের খবরে কোম্পানির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও পরে তা কমে আসে। 

সর্বশেষ দিন কোম্পানিটির শেয়ার ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি দরে লেনদেন হচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ার।

শেরপুরের শেরীপাড়ায় অবস্থিত কারখানাটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি বর্তমানে জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে। তালিকাভুক্তির দুই বছর পরই কোম্পানিটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি জড়িয়ে জেলে যান। পরে জামিন নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেলে কোম্পানির কার্যক্রম ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়।

পরে কোম্পানিটিকে চালু করতে ২০২১ প্রথম দিকে এমারেল্ড অয়েলের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিনোরি বাংলাদেশ নামে জাপান প্রবাসী এক বাংলাদেশি এমারেল্ডের শেয়ার কিনে মালিকানায় আসেন।

বর্তমানে কোম্পানির ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।

এমারেল্ড অয়েলের বর্তমান বাজার মূলধন ২২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২০১৪ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৩৯ পয়সা আয় করে। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ১ টাকা নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর পরের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ১০ পয়সা আয় করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ১ টাকা ও প্রতি ১০০ শেয়ারে ১০টি শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এমআই/আরএইচ