চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। এছাড়া নতুন অর্থবছরে এখনো বৈদেশিক ঋণের কোনো টাকা খরচ করতে পারেনি এডিপি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আইএমইডি জানায়, গত চার বছরের মধ্যে এডিপির বাস্তবায়ন হার কম। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার মাত্র শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ। করোনাকালীন ও পরবর্তী দুই বছরেও সোয়া ১ থেকে ২ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ৩৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিদেশি অর্থ খরচ করতে পারেনি।

আইএমইডির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের  জুলাইয়ে এডিপি এক শতাংশের কম বাস্তবায়ন হয়েছে। আড়াই লাখ কোটি টাকার এডিপির মধ্যে খরচ হয়েছে আড়াই হাজার কোটির টাকার কম। টাকার অংক ও বাস্তবায়নের হার দুই দিক থেকেই প্রথম মাসের এডিপি আগের তিন বছরের চেয়ে কম। ব্যয় হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের ২০২১-২২ এ একই সময় যা ছিল ১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ব্যয় ছিল ২ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাইয়ে খরচ ছিল ৩ হাজার ২৫৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এমনকি করোনার সময় ২০১৯-২০ অর্থবছরেরও ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৯৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এখন স্বাভাবিক সময়ে এক শতাংশও অর্জিত হয়নি। চলতি বছর এডিপির আকার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা।

প্রথম মাসের খরচের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিলের ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য থেকে ৯৭৬ কোটি টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর নিজস্ব কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে ১৫৭ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৮৪ কোটি টাকা খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় খরচের খাতাই খুলতে পারেনি। ১৮টি মন্ত্রণালয় জিওবি অর্থে টাকা ব্যয় করতে পারেনি।

অন্যদিকে, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ নিজস্ব টাকাও খরচ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় অর্থ ব্যয় করতে পারেনি। 

এসআর/ওএফ