মিনিসো বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া ছবি

চীনা প্রতিষ্ঠান হয়েও প্রচার-প্রচারণায় নিজেদের জাপানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরার জন্য ক্ষমা চেয়েছে মিনিসো। বিষয়টিকে নিজেদের গুরুতর ভুল বলেও স্বীকার করে নিয়েছে তারা।  

মিনিসো হোমওয়্যার এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করে। প্রতিষ্ঠানটির লোগো এবং ব্র্যান্ডিং ধরনও জাপানি প্রতিষ্ঠান ইউনিক্লোর মতো। এ জন্য চীনে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মিনিসোকে। চীনারা মনে করছেন, প্রতিষ্ঠানটি এমন আচরণ তার মূলের সাথে যায় না।  

মিনিসো অবশ্য নিজেদের কখনও জাপানি কোম্পানি বলে দাবি করেনি। তারপরও গত সপ্তাহে একটি বিবৃতিতে মিনিসো তার গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং কৌশলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। 

২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে মিনিসো। শুরুতে একজন জাপানি ডিজাইনারের নেতৃত্বে ছিল প্রতিষ্ঠানটি ;যা একে ‘জাপানি ডিজাইনার ব্র্যান্ড’ হিসেবে উপস্থাপন করে। 

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৫ হাজারের বেশি শাখা রয়েছে মিনিসোর। নান্দনিক ডিজাইনের পণ্যের জন্য বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ব্র্যান্ডটি। 

শুরু থেকেই মিনিসো জাপানি ব্যান্ড হিসেবে এতটাই পরিচিত হয় যে এখন এটি চীনা ব্র্যান্ড জেনে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। 

চীনে মিনিসোর এই ব্র্যান্ডিং কৌশলে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় জুলাই মাসে, যখন মিনিসোর একটি স্প্যানিশ শাখা চীনা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিয়ে ডিজনি প্রিন্সেসের একটি পুতুলকে জাপানি বলে দাবি করে। ইনস্টাগ্রামে এর ছবি পোস্ট করার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। চীনা সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে সম্পাদকীয়ও লেখা হয়, যেখানে বলা হয় এ ধরনের ভুল ক্ষমার যোগ্য নয়। এরপর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৩৭ শতাংশেরও বেশি কমেছে।  

এসব কিছুর জন্য মিনিসোর দুঃখ প্রকাশকে অনেকেই মনে করছেন যথেষ্ট নয়। 

সার্বিক পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মিনিসো বলছে, মিনিসো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি চীনা কোম্পানি এবং এটি চীনা ব্র্যান্ডই হতে চায়। প্রতিষ্ঠানটির ওপর দৃষ্টি রাখার জন্য গণমাধ্যমে এবং জনসাধারণকে ধন্যবাদও জানিয়েছে তারা।  

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান। 

এনএফ