নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, হোটেল ম্যানেজারের ৬ মাস জেল
রান্নাঘরে অত্যন্ত নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার তৈরি করে তা ময়লা আবর্জনার পাশেই রেখে দেওয়া হয়েছে। ফ্রিজে রাখা লেবেলবিহীন খাদ্যপণ্য। বৈধ কোনো লাইসেন্স ছাড়াই করছে হোটেল ব্যবসা।
রোববার (২১ আগস্ট) রাজধানীর গ্রিন রোডে ‘মেসার্স খাজা রেস্টুরেন্ট’-এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় রেস্টুরেন্টটিতে এমন দৃশ্য দেখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাফরোজা আক্তার। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে জেনারেল ম্যানেজারকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বিএফএসএ জানায়, রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ‘মেসার্স খাজা রেস্টুরেন্ট’-এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির রান্নাঘর অত্যন্ত নোংরা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের কোনো ব্যবসায়ীক লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। ফ্রিজে লেবেলবিহীন খাদ্যপণ্য মজুত করে রেখে দিয়েছে। এসব অপরাধে হোটেল কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যানেজারকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার দেওয়া হয়।
অভিযানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান আনচারী, ছানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্যের অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
এসআই/জেডএস