নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। চাল-ডাল, ডিমের পর এবার কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়েছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি কম। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে যাতায়াত খরচ বেড়েছে। এই দুই কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু করেছে।

হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সেভাবে আমাদের আয় বাড়েনি। আমরা কীভাবে চলব। খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে খুচরা দোকানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। মধ্যমানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। 

আরও পড়ুন : জ্বালানি তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দামও 

অথচ দু’দিন আগেও ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা কেজিতে। আর মধ্যমানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়াও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজিতে।

মহাখালী কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুস ছামাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাঝারি মানের পেঁয়াজ কেনাই পড়েছে ৪৮ টাকা। তার সঙ্গে যাতায়াত ভাড়া মিলে ৫১-৫২ টাকা কেনাই পড়েছে। এই পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি করছি।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।  

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ান বাজারের একজন ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। এই সুযোগে বড় ব্যবসায়ীরা মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। এছাড়াও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। 

আরও পড়ুন : হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

শ্যামবাজারে ব্যবসায়ী হাজি মাজেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি করছি ৪০ থেকে ৪২ টাকায়; যা আগে ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়; যা দুদিন আগেও ছিল ৩৪-৩৫ টাকা কেজি।

দাম আরও বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।  

এমআই/এনএফ