গত কোরবানি ঈদের পর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় মাছের দাম। সেই দাম এখনও কমেনি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে মাছ কিনতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিংয়ের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে মাছ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ কথা সত্য যে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেশি। কিন্তু কিছু করার নাই। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে বিক্রির দামটাও কিছুটা বেশি।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বাজার ঘুরে দেখে গেছে, বাজারে কম দামের মাছগুলোর মধ্যে তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকায়, কই (চাষের) ২২০-২৪০ টাকায়, পাঙাশ ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়, কাতল ৩৫০ টাকায়, বোয়াল ৫০০-৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, মাঝারি ইলিশ ১১০০ টাকা, বড় ইলিশ ১৬০০ টাকায়।

পাশাপাশি, শিং (ছোট) ৪৫০-৫০০, চিংড়ি ৬০০-৬৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০-৬০০, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা এবং আইড় মাছ ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালীতে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ঈদের পর যখন মাছের চাহিদা বেড়েছিল, তখন থেকেই মাছের বাজারে আগুন। এখনও দাম কমেনি। বাড়তি দামেই মাছ বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে কি বাজার মনিটরিংয়ের কোনো সংস্থা নেই? ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের জিম্মি করবে। এর সমাধান কি আমরা সাধারণ ক্রেতারা পাব না? বাজারে সবচেয়ে কম দামের যে তেলাপিয়া, চাষের কই মাছ আছে, সেগুলোর দামও বাড়তি। তাহলে সাধারণ মানুষ খাবে কী?

একই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে আমাদের কেনা দামই বেশি পড়ছে। তাই খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঈদের পর থেকে একই রকম বাজার চলছে। আমরা যখন পাইকারি বাজারে কম দামে মাছ কিনতে পারব, তখন খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করত পারব। বাজার যখন যেমন চলে, তখন সেভাবেই বিক্রি করি।

অন্যদিকে ক্রেতা কম থাকলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, খাসির মাংস। মুরগিও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আজ গরুর মাংস ৭০০ এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০, সোনালি ২৭০ এবং লেয়ার ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মালিবাগ বাজারের খুচরা মুরগি বিক্রেতা বেল্লাল হোসেন বলেন, মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে, দাম বাড়েনি। তবে আগে যে দাম বেড়েছিল সেটিও কমেনি। মুরগির খাবারের দামবৃদ্ধি থাকায় দাম কমেনি।

মহাখালী টিবি গেইট এলাকার মাংস বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাড়তি দাম থাকায় গরু-খাসি মাংসের ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। মাংসের দোকানগুলো ফাঁকা ফাঁকা। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ মাংস কিনছে না।

এএসএস/এমএইচএস