ডলার নিয়ে কারসাজি করার অপরাধে রাজধানীর তিনটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো, বিসমিল্লাহ মানি চেঞ্জার, অঙ্কন মানি চেঞ্জার ও ফয়েজ মানি চেঞ্জার। এছাড়া একাধিক অবৈধ মানি চেঞ্জারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত ক‌রে‌ছেন।

‌তি‌নি জানান, অনিয়ম পাওয়ায় কয়েকটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া খোলাবাজারে নগদ ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিভিন্ন মানি চেঞ্জার পরিদর্শন করেছেন; তা‌দের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) কর্মকর্তারাও ছি‌লেন।

এদিকে আমদানি বেড়ে যাওয়া ও প্রবাসী আয় কমার কারণে দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে দাম। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে পতন হচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আজ সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। গত মে মা‌সের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। 

ত‌বে খোলাবাজার থেকে এক ডলার বি‌ক্রি হ‌চ্ছে ১০৯ টাকা থেকে ১১০ টাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকগুলোতে এখন আমদানির জন্য ১০০ টাকার নিচে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০৭ থেকে ১০৯ টাকায় ডলার কিনে আমদানি দায় মেটাতে হচ্ছে। রেমিট্যান্সের জন্যও ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দরে ডলার কিনতে হচ্ছে।

সোমবার খোলাবাজারে ১০৯ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়ে‌ছে। ‌দে‌শে খোলাবাজারে প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। এরপর আবার কমে আসে। প‌রে গত ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে। গত সপ্তাহে নগদ ডলার ১১২ টাকায় উঠেছিল।

এসআই/এসকেডি