দ্বৈত কর নীতি প্রত্যাহারসহ ৮ প্রস্তাব জানাবে বিএসইসি
আসন্ন বাজেটে জিরো কুপন বন্ডের মতো বন্ড ও সুকুক বন্ডে কর সুবিধা দেওয়া, দ্বৈত কর নীতি প্রত্যাহার এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১৫ শতাংশ রাখাসহ ৮ দফা প্রস্তাব জানাবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে একটি গতিশীল ও উন্নত পুঁজিবাজার গঠনের লক্ষ্যে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাবে বিএসইসি। কমিশন বলছে, চলতি বছর দৈনিক গড় লেনদেন ৩ হাজার কোটি টাকা এবং আগামী ২ বছরের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালী করার জন্য বিশেষ ফান্ড দেওয়া, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর দুরবস্থা দূর করতে মার্জিন ঋণের সুদ হার আরও কমানো এবং করপোরেট কর হার কমানো ইত্যাদি।
এবিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠন করতে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের ব্যবধান নূন্যতম ১৫ শতাংশ করাসহ ৮টি প্রস্তাব জানাবো।
তিনি বলেন, গত বছর বাজেটের পর আমরা পুঁজিবাজারের দায়িত্বে এসেছি। তারপরও সরকার আমাদের কয়েকটি বিষয়ে সুবিধা দিয়েছে। এবছর অন্তত ৫টি সুবিধা পেতে চেষ্টা করবো। পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। পুঁজিবাজারে ভালো ভালো কোম্পানিকে আনতে হলে কর হারের ব্যবধান নূন্যতম ১৫ শতাংশ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই, কর ব্যবধান বাড়লেই দেশি-বিদেশি ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে।
বর্তমান সময়ের মতো আসন্ন বাজেটেও কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখার, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর লেনদেনের ওপর কমিশনের কর হার কমানো এবং উৎসে কর হার কমানোর প্রস্তাব জানাবে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বাজেটে লেনদেনের ওপর আরোপিত দশমিক ০২ পয়সা হারে কর কমানো এবং বিনাশর্তে কালো টাকা বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়াসহ বেশি কিছু প্রস্তাব রাখবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসছে বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগসহ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কিছু প্রস্তাবনা সরকারের কাছে জানাবো। আশা করছি সরকার পুঁজিবাজারের স্বার্থে এগুলো বিবেচনা করবে। উদ্যোক্তারা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করবে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখবে। এতে দেশ এগিয়ে যাবে।
এমআই/আরএইচ