কোরবানির পশুর চামড়ার বড় অংশ লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। পাশাপাশি ট্যানারি মালিকেরাও সরাসরি কিছু কাঁচা চামড়া কেনেন। এ বছর সরাসরি কাঁচা চামড়া কেনা বাড়িয়েছেন ট্যানারি মালিকেরা।

বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার থেকে লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করবেন তারা। আড়তদাররা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে চামড়ার টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছেন ট্যানারি মালিকেরা। এবার তাই সরকার নির্ধারিত দামে নগদ টাকা দিয়ে চামড়া কেনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

রাজধানীর লালবাগের পোস্তা এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী দীন মোহাম্মদ শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার ট্যানারি মালিকেরা যাতে আমাদের কাছ থেকে ন্যায্য দামে চামড়াগুলো কিনে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই দাম পরিশোধ করে দেন। বিগত সময়ে তারা আমাদের কাছ থেকে চামড়া নিয়ে ঘুরিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করবেন বলেও এক থেকে দেড় বছরের পরও তা শোধ করেননি। 

গত বছরের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত বছরও সরকার নির্ধারিত দামে তারা চামড়া কেনেনি। আড়তে ১০-১২ জন ট্যানারি মালিক এলে ভালো দামে চামড়া পাওয়া যায়। কিন্তু এক-দুইজন আসলে তারা তো ন্যায্য দাম দেবেন না।

চামড়া ব্যবসায়ী জয়নাল আহমেদ বলেন, চামড়ার ব্যবসা এত খারাপ হয়েছে, ট্যানারি মালিকেরা আমাদের মানুষই মনে করেন না। তারা আমাদের টাকায় দামি দামি গাড়িতে চড়লেও আমাদের পাওনা টাকা দেন না। আমরা চাই, এবার তারা চামড়া কিনতে এলে যেন সরকার নির্ধারিত দামেই কেনেন এবং সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করে দেন।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, এক কুরবানি চলে গেছে, ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে টাকা পেতে আরেক কুরবানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পোস্তা এলাকা থেকে সরকারি দামে ট্যানারি মালিকেরা চামড়া কিনে নিয়ে যান, তাতেই আমাদের স্বস্তি। তারা চামড়া নিয়ে গেলে প্রান্তিক এলাকা থেকে আবার চামড়া আসা শুরু হবে। রেগুলার ব্যবসা শুরু হয়ে যাবে।

এএজে/আরএইচ