ঈদের চতুর্থ দিনে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে ২০ টাকা থেকে অন্তত ৫০ টাকা বেড়েছে মাছের দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের কারণে আড়তে মাছের সরবরাহ কম, আড়ৎ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

মাছ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। অনেকেই দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে মাছের সরবরাহ বাড়তে পারে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।

বুধবার রামপুরা, মালিবাগ ও বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগের ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ কেজিতে ২০ টাকা দাম বেড়েছে।

রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে, বাইন মাছ ৫০০ টাকা কেজি।

চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে। ছোট বোয়াল ৩২০-৪০০ টাকা। বড় বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা কেজিতে। কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজিতে। পাঁচ মিশালী (ছোট বাইন, টেংরা,পুটি, বাইলা) ২৮০ টাকা কেজিতে। 

এছাড়া ছোট আকারের ৪-৫টি ইলিশের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আর একটু বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১১০০ টাকা কোজিতে। এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকায়।

এছাড়াও কাঁচকি গুড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা,টেংরার কেজি ৬০০ টাকা ও এক কেজি রূপচাঁদার দাম ৬০০-৮০০ টাকা।

রামপুরা বাজারে ব্যবসায়ী সায়মন অরেফিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকালের তুলনায় আজ ক্রেতার সংখ্যা বেশি। কিন্তু সেই অনুসারে মাছের সরবরাহ কম। আজও আড়ৎ অনেকটাই ফাঁকা ছিল। ফলে কম দামে মাছ কিনতে পারিনি।

মালিবাগ বাজারে ব্যবসায়ী মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের আগের পাঙ্গাস কিনেছি ১২০ টাকা কেজিতে, বিক্রি করেছি ১৪০ টাকায়। আজ কেনা পড়েছে ১৪২ টাকা কেজি, বিক্রি করছি ১৬০ টাকায়।  

প্রায় একই কথা বলেন মধ্যবাড্ডার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মাল আসে ময়মনসিংহ থেকে। কিন্তু আজ আড়তে গিয়ে বেশি দামে মাছ কিনতে হয়েছে। এখন আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।

রামপুরা বাজারে মাছ কিনতে আসা মহসিন হোসেন বলেন, মাছের যে দাম বলছে, মাছ দেখেই শান্তি। কেনার ইচ্ছা হচ্ছে না।

জোসনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোরবানি মাংস খেতে খেতে ভালো লাগছে না। তাই মাছ কিনতে এলাম। কিন্তু মাছের দাম অনেক বেশি।

এমআই/এনএফ