বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি
রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি। আর মুরগির ডিম (লাল) প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কোথাও আবার তার ১২৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে লেয়ার মুরগি ২৭০ টাকা, পাকিস্তানি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
মুরগির মতো গরুর মাংসের দামও অপরিবর্তি। গরুর মাংসের কেজি ৬৮০ টাকা ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দামের বিষয়ে মহাখালী কাঁচা বাজারের মুরগির বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, মুরগির দাম আগের মতোই আছে, বাড়েনি। তবে ঈদের আগে মুরগির দাম বাড়তে পারে। আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। মাঝারি সাইজের ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেশি।
গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারে মুরগি কিনতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী ফরিদুর রহমান বলেন, সোনালি মুরগি দুইটা কিনেছি ২৫০ টাকা কেজিতে। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে বলে দোকানিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে রেখেছে। সবজি থেকে শুরু করে বাজারে এমন কিছু নেই যার দাম বাড়তি নয়। দামের কারণে সাধারণ মানুষ গরু, খাসি, দেশি মুরগি কিনতে পারে না। তারা বাধ্য হয়ে ব্রয়লার মুরগি কেনে, কিন্তু তার দামও বাড়তি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
অন্যদিকে কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজিও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করোলা ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা (আকারভেদে), মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এএসএস/এনএফ