বিদ্যুতের সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ৯০ টাকা ধরে)।  

বুধবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দনদন চেন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। ইআরডি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিশ্বব্যাংক জানায়, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের চার কোটি মানুষের কাছে উন্নত বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছানো হবে। এর মাধ্যমে ৩১ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ও ১৫৭ উপকেন্দ্র আপগ্রেড ও নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে ২৫টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য জলবায়ু সহায়ক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দনদন চেন বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন চারগুণের বেশি বাড়িয়েছে। আর ৯৯ ভাগের বেশি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে গেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবরাহ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেনি। এ ঋণ কর্মসূচি জলবায়ু সহনশীল সরবরাহ নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, যা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মাধ্যমে দেওয়া হবে ৩০ বছর মেয়াদি এ ঋণ। এর মধ্যে থাকবে পাঁচ বছরের রেয়াত কাল। ‍ঋণের আওতায় বিশ্বব্যাংকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।

মোট অর্থের মধ্যে ১৫ লাখ ডলার ক্লিন টেকনোলজি ফান্ডের (সিটিএফ) আওতায় অনুদান হিসাবে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এ কর্মসূচিসহ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশ্ব ব্যাংকের ১০৮ কোটি ডলারের সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে ।

এসআর/আরএইচ