চালের আড়ত

বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট- এলসি) খুলতে পারেনি, তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খোলেনি তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হলো।

যেসব বেসরকারি চাল আমদানিকারক ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলেছে এবং ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া চাল বাজারজাত করছে শুধুমাত্র তারা আরও চাল আমদানি করতে চাইলে তাদেরকে প্রমাণসহ (এলসি এবং বিল অব এন্ট্রির কপি) আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকের পক্ষে তার ব্যাংক রপ্তানিকারককে পণ্যমূল্য পরিশোধের যে নিশ্চয়তা দেয় সেটাই হচ্ছে এলসি বা ঋণপত্র।

দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে এলসি খোলার সময় ১৫ দিন বাড়িয়ে সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়। এর আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এলসি খোলার শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে সোয়া ১০ লাখ টনের মতো চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টন চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা চাল যথাযথভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে কি-না, সেটি তদারকির জন্য আট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এসএইচআর/এফআর