ইংরেজি ভার্সন চালু থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। 

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

একই সাথে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ফান্ড, পেনশন ফান্ড, সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ড, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড, অনিবাসী বাংলাদেশি যাদের স্থায়ী অবকাঠামো নেই- এমন ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করের আওতা সম্প্রসারণে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বৃদ্ধির নিমিত্তে নিম্নোক্ত আইনি বিধান আরোপের প্রস্তাব করছি। তিনি বলেন, যে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভার্সন চালু রয়েছে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান প্রবর্তন ও স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড, অনুমোদিত গ্র্যাচুইটি ফান্ড, পেনশন ফান্ড, অনুমোদিত সুপারএন্যুয়েশন ফান্ড এবং শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ব্যতীত অন্যান্য ফান্ডের রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

এছাড়াও অন স্পট কর নির্ধারণের বিদ্যমান বিধানকে কেবলমাত্র গ্রোথ সেন্টারসমূহে সীমাবদ্ধ না রেখে সকল পর্যায়ে এর প্রয়োগ বিস্তৃত করতে হবে।  
 
আরও যেসব প্রস্তাব করা হয়েছে- ধারাবাহিক তিন বছর বা ততোধিক সময়ব্যাপী কোনো কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের কাছ থেকে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান করা। সরকারের অবিতর্কিত রাজস্ব দাবী পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তন।

এমআই/এনএফ