দুই অর্থবছরে ২ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ
আগামী ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, দেশের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার দারিদ্র্য হ্রাস ও জীবনমান উন্নয়ন এবং গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মাধ্যমে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (সিভিডিপি)-৩য় পর্যায় (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় এ যাবৎ ৮ হাজার ৮২৮টি সমিতি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮২ জন সুবিধাভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট ২ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য হ্রাসকরণ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষক ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ ও ঋণ বিতরণ, তদারকি, কৃষি এবং কুটির শিল্পের যন্ত্রপাতি সরবরাহ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কুমিল্লা ও বগুড়ায় অবস্থিত পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পাশাপাশি জামালপুর ও রংপুরে আরও দুটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে আগের বছরের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
এসএইচআর/জেডএস