ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাট চালানের লটারি বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য খুঁজে পাচ্ছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

রোববার (৫ জুন) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ইএফডি চালানের লটারির ড্র উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (শুল্ক মূল্যায়ন ও আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য) আব্দুল মান্নান শিকদার এ কথা বলেন। 

আজ ইএফডি চালানের ১৭তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১০১ জন বিজয়ীর চালান নম্বর ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন আব্দুল মান্নান শিকদার। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য (নীরিক্ষা) শহিদুল ইসলাম, (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান, সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানাসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

এনবিআর সদস্য মান্নান শিকদার বলেন, ইএফডি লটারিতে আমরা বিজয়ী সবাইকে পুরস্কার দিতে চাই। কিন্তু পুরস্কারের জন্য লোক পাচ্ছি না। এটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করি এটা সামনে আরও ভালো হবে। সবাইকে পুরস্কার দিতে পারব। 

তিনি বলেন, সামনে আমাদের বাজেট, এটা আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি ইট ভাটার বকেয়া রাজস্ব, নিয়মিত রিটার্ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় ও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট উৎস কর আদায়ের প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন।

অন্যদিকে মইনুল খান বলেন, ইএফটি মেশিন বসানোর পর থেকে আমরা আশান্বিত সাফল্য পাচ্ছি। গত মে মাসে ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ৩১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যেখানে গত অর্থবছরের মে মাসে আদায় হয়েছিল ২০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০৭ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। চলতি মাসে তিন হাজার ২০০ মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের তিন লাখ ইএফডি মেশিন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। 

মে মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের উপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। 

২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৩৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর। 

আরএম/জেডএস