সারাদেশের প্রায় ৫৪ লাখ ব্যবসায়ীর মধ্যে অল্প সংখ্যক ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফার কারণে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

সোমবার (১৬ মে) দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমানে দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যের কিছুটা মূল্য বেড়েছে। কিন্তু সারা দেশের প্রায় ৫৪ লাখ ব্যবসায়ীর মধ্যে অল্প সংখ্যক ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফার কারণে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। 

চেম্বার সভাপতি চট্টগ্রামের সব মার্কেট, দোকান মালিক সমিতি ও অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের প্রতি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের সেবক। ঝুঁকি নিয়েই দেশের কল্যাণে কাজ করছে। গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর কারণে যাতে ব্যবসায়ী সমাজের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।  

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অবৈধ মজুতদাররা যেন ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুরোনো মাল পুরোনো দামে বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তিনি।  

চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) বলেন, একজন ব্যবসায়ীর অনৈতিক ও অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডের কারণে সবাইকে কলঙ্কিত করা যাবে না। কেউ যাতে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে এ ব্যাপারে তিনি নেতাদেরকে মার্কেটভিত্তিক বৈঠক করার অনুরোধ জানান। 

অনুষ্ঠানে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বারের সাবেক পরিচালক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালামত আলী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, পাহাড়তলী বণিক সমিতি, কর্ণফুলী বাজার সমিতি, চাকতাই আড়ৎদার সমিতির প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। 

কেএম/জেডএস