ঈদের পর পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার অজুহাতে বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁপের দাম। শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখে গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের সময় মাল কম আসছে, তাই সবজির দাম একটু বেশি। এছাড়াও নতুন পেঁপে এখনো না উঠায় দাম বেশি যাচ্ছে। প্রতিবারই বছরের এই সময়ে এসে পেঁপের দাম বাড়ে।

দেখে গেছে, বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, করোলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ধন্দুল ৫০ টাকা , কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও লাউ প্রতি পিস ৬০/৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৬০ টাকা।

মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ঈদের পর আজই প্রথম বাজারে এলাম। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব জিনিসের দাম বেশি। প্রতিটি সবজির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বেশি অবাক লাগছে পেঁপের কেজি দাম ৭০-৮০ টাকা শুনে।এখন আধা কেজি করে সবজি কিনতে হচ্ছে।

বাজারে পেঁপের দাম এত বেশি কেন? এই বিষয়ে মালিবাগ এলাকার সবজি বিক্রিতে হামিদুর রহমান বলেন, এখন আসলে পেঁপের সিজন না। বাজারে এগুলো সব পুরাতন গাছের পেঁপে। এছাড়া সরবরাহও অনেক কম, তাই পেঁপের দাম বাড়তি। নতুন পেঁপের গাছ কেবল লাগিয়েছে চাষিরা। এই নতুন পেঁপে বাজার আসার পর দাম স্বাভাবিক হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক খারাপ পেঁপে ৬৫ টাকা আর একদম ভালো মানের পেঁপে ৮০ টাকা কেজি খুচরা বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির সার্বিক দাম বিষয়ে মহাখালী কাঁচাবাজারের বিক্রেতা বোরহান উদ্দিন বলেন, সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। ঈদের সময় মালামাল নিয়ে গাড়ি কম আসছে। আসলেও ভাড়া বেশি। সব মিলিয়ে সবজির দাম একটু বাড়তি যাচ্ছে।

এএসএস/এমএইচএস