১৭ শতাংশ কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাননি
বেসরকারি শিল্প-কারখানায় শনিবার থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। পাঁচ শতাংশ কারখানার শ্রমিকরা বোনাস ও ১৭ শতাংশ কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাননি। এসবের বেশিরভাগই ছোট কারখানা। শিল্প পুলিশের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শিল্প পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯ হাজার ১৭৩টি কারখানার মধ্যে ৯৫ শতাংশ কারখানায় শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনের বেতন দেওয়া হয়েছে ৮৩ শতাংশ কারখানায়। এখনো ১৭ শতাংশ কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাকি রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দেশের সকল কারখানায় ইদের ছুটি শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে দেখছি, এ সময়ে ৯৫ শতাংশ শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৮৩ শতাংশ কারখানায় এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ৯ হাজার কারখানার মধ্যে পোশাক খাতের কারখানা ৪ হাজার। এসব কারখানায় বোনাস ও বেতন হয়েছে
কারখানাগুলো তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, নিটওয়ার কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সদস্যভুক্ত।
পোশাক খাতের বাইরে চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধপণ্যসহ অন্যান্য খাতের কারখানা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। মূলত এসব কারখানার মধ্যে কতগুলো তাদের শ্রমিকদের বেতন দেয়নি।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারক হাসান বলেন, সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও শ্রমিকদের যথাযথ পাওনা পরিশোধ করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, শতভাগ কারখানায় উৎসব ভাতা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এপ্রিল মাসের আগাম বেতন দেওয়া হয়েছে। শতভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
ফারুক হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদ উপলক্ষে উদ্যোক্তারা এলাকাভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ও দিনে ছুটি দিচ্ছেন। বুধবার থেকে শ্রমিকরা ছুটিতে যাওয়া শুরু করেছে। আজকের মধ্যেই সব শ্রমিক ঢাকা ছাড়বেন।
তিনি আরও বলেন, ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ও ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছুটি দেওয়ার কারণে এবার মহাসড়কগুলোতে অন্যবারের তুলনায় যানবাহনের চাপ কম পড়েছে।
এমআই/আরএইচ