হঠাৎ রাজধানীতে বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও গাজরের দাম। তবে কমেছে শসা ও বেগুনের দাম। অন্য সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা বৃষ্টির অজুহাতে কেজিপ্রতি ২০ টাকা করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর গাজরের দাম বাড়িয়েছে মৌসুম শেষ বলে। তবে ক্রেতাদের মধ্যে গাজরের দামের চেয়ে মরিচের দাম নিয়ে ক্ষোভ বেশি।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

কাঁচা মরিচের চেয়ে বেশি বেড়েছে গাজরের দাম। শনিবার রাজধানীতে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগে গাজরের কেজি ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। কেজিতে গাজরের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আনিসুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে মরিচের সরবরাহ কম। ফলে চাহিদার তুলনায় মরিচ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

একই বাজারের ব্যবসায়ী আশিক রাহাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, গাজরের মৌসুম শেষ। তাই দাম বাড়ছে। দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

রামপুরায় বাজার করতে আসা রাশেদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদিন আগেও কাঁচামরিচ কিনেছি ৮০-৯০ টাকায়। আজ ১২০ টাকার নিচে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, দাম বাড়ায় আধা কেজি মরিচ কিনেছি। এটা কি ভাবা যায়। এটা কি ব্যবসা না ডাকাতি? গাজরের দামও ডাবল বেড়েছে বলে জানান তিনি।

তবে আশার কথা হলো রোজার শুরু থেকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকা বেগুনের দাম কমেছে। আজ বাজারগুলোতে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। শসার দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। শনিবার রাজধানীতে দাম কমে শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও হয়েছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে।

বাড্ডার ব্যবসায়ী মানসুর চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রমজান মাস শেষের দিকে। এ কারণে বেগুন ও শসার দাম কমছে। তিনি বলেন, রমজানের প্রথম দিকে ৩-৪ মণ শসা বিক্রি করেছি, এখন এক থেকে দুই মণ বিক্রি করছি। দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও কমে গেছে।

তবে বাজারে অন্য সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, ঝিঙা কেজি ৭০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলুর কেজি ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, উস্তে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

বাজারে সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। টমেটোর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। আর কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালিতে।

এছাড়া লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। লাল ও পালং শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায়। লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালিতে।

সবজির পাশাপাশি মাছ মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। দেশি মুরগির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।

মাছের মধ্যে রুইয়ের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকায়। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকায়। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

এমআই/এসএসএইচ