প্রত্যেক বছর রোজা এলেই বেড়ে যায় বেগুন, শসা, লেবুসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেগুনের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে সংসদে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। গতকাল সংসদে আলোচনাকালে তিনি ইফতারে বেগুন দিয়ে তৈরি বেগুনির পরিবর্তে অন্য সবজি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে রমজানের পঞ্চম দিনে কমতে শুরু করেছে বেগুনের দাম। প্রকারভেদে বেগুনের দাম কেজিতে কমেছে অন্তত ১০ টাকা। কমেছে লেবুর দামও। আকার ভেদে লেবুর দাম হালিতে কমেছে ৫-১০ টাকা।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রাজধানীর বৌ-বাজার, রামপুরা, মধুবাগ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। একদিন আগেও যার দাম ছিল ৭৫-৮৫ টাকা। আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে।

অন্যদিকে মাঝারি সাইজের লেবু হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এতদিন একই আকারের লেবু হালি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হতো। একটু বড় আকারের লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬৫ টাকায়। গতকালও এ সাইজের লেবু বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকায়।

মধুবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, গতকাল থেকে বেগুনের দাম কমতে শুরু করেছে। রোজার শুরুতে বেগুনের চাহিদা অনেক বেশি ছিল, এর সুযোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। এখন বাজারে বেগুনের সরবরাহ বেশ ভালো, চাহিদাও আগের চেয়ে কমেছে। হয়ত সে কারণে দামও কম। সামনে আরও দাম কমবে। তবে অন্য সবজির সরবরাহও বেশ ভালো।

রমজানের শুরু থেকেই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয় শসা। তবে আজকের বাজার ঘুরে শসার দামও তুলনামূলক কম পাওয়া গেছে। শসা বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে। এতদিন যা বিক্রি হতো ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

অন্যদিকে মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আকার ভেদে লাউ ৩০-৬০ টাকা,টমেটো ৩০-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচার বাজারের ক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, বাজার করতে আসলেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সব কিছুরই দাম বেশি। আমি সাধারণত যেসব সবজির দাম খুব বেশি থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আজকে বেগুন ও শসার দাম তুলনামূলক কম। এটা ইতিবাচক দিক। তবে আরও কমা প্রয়োজন, যাতে সব শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

আরএম/এসকেডি