গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট পেয়েছে দেশের জনপ্রিয় রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী যত ধরনের মান বা স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা দরকার সেগুলো নিশ্চিতকরণে কাজ করে গ্লোবাল গ্যাপ। 

সম্প্রতি সার্বিক পরীক্ষণ ও নিশ্চিতকরণ সম্পন্ন করে অডিট কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই স্বপ্নকে এ সনদ দেওয়া হয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রিটেইল ক্যাটাগরিতে ‘স্বপ্ন’ প্রথম ও একমাত্র গ্লোবাল গ্যাপের মেম্বার এবং প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কোনো কোম্পানি এ সার্টিফিকেট অর্জনের গৌরব অর্জন করল।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় স্বপ্ন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফুড সেফটি বা খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক পর্যবেক্ষণ শেষে কৃষিজাত পণ্য বা এগ্রিকালচার প্রোডাক্টে জন্য গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তবে তার আগে এসজিএস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড কয়েকটি ধাপে অডিট করে। সব পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বপ্নর হাতে আসে প্রত্যাশিত গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্নের  নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, স্বপ্ন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম গ্লোবাল সার্টিফাইড রিটেলার। সনদ প্রাপ্তি একটি অত্যন্ত আনন্দের ও স্বস্তির খবর। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের কৃষক বন্ধুদের , ইউএসএইড  ও  গ্লোবাল গ্যাপকে এ অর্জনে সহযোগিতা করার জন্য। ৭টি সার্টিফাইড পণ্য নিশ্চিত করছে যে স্বপ্ন নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে কতটুকু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

স্বপ্নের হেড অব মার্কেটিং মাহাদী ফয়সাল বলেন, কীটনাশক বা আগাছানাশক সম্পর্কে আমাদের মধ্যে একটি নেতিবাচক ও ভুল ধারণা রয়েছে। চাষিরা এদের বিষ বলে। অনেকে আবার এ ভ্রান্ত ধারণাকে পুঁজি করে ব্যবসা করে থাকে এবং ঘোষণা দেয় যে তারা বিষমুক্ত সবজি বা ফল বিক্রি করছে। বাস্তব অর্থে কীট বা আগাছানাশক হলো প্ল্যান্ট মেডিসিন। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের কৃষক সমাজের ৭৫ ভাগই প্ল্যান্ট মেডিসিনের সঠিক প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন নন। আর সমস্যা মূলত সেখানেই। প্ল্যান্ট মেডিসিনের সঠিক প্রয়োগ এবং পিএইচআই (প্রি-হারভেস্ট ইন্টারভাল) মেনে ফসল উত্তোলন করাই বিধিসম্মত। আর এটাই করে থাকি আমরা। স্বপ্ন সবসময়ই ক্রেতাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বপ্নের হাতে এসেছে গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট। এটি সত্যিই আমাদের জন্য আনন্দের।

উল্লেখ্য, স্বপ্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের এভিসি প্রোগ্রাম (এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস) প্রজেক্টের সহায়তায় ২০১৭ সালে প্রথম গ্লোবাল গ্যাপের সঙ্গে কাজ শুরু করে। গ্লোবাল গ্যাপ হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যেটি মূলত সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেয়। 

বিজ্ঞপ্তি